কে বাঁচায় কে বাঁচে বড় প্রশ্ন এবং উত্তর {DTQ}
| কে বাঁচায় কে বাঁচে (MCQ) |
| কে বাঁচায় কে বাঁচে (SAQ) |
| কে বাঁচায় কে বাঁচে বড় প্রশ্ন ও উত্তর [DTQ] |
| Higher Secondary Bengali Exam Preparation |
প্রশ্ন ১৯। নীচের উদ্ধৃতিটি প্রসঙ্গসহ ব্যাখ্যা করাে :
ছােট একটি মগ হাতে আরও দশজনের সঙ্গে পড়ে থাকে ফুটপাথে আৱ কাড়াকাড়ি মাৱামাৱি কৱে লঙ্গরখানার খিচুড়ি খায়। [1+4]
উ: উৎস: আলােচ্য উদ্ধৃতিটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, ‘কে বাঁচে। গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ: লােক ফুটপাথের অনাহারে মরছে। অথচ মৃত্যুঞ্জয়েরা চারবেলা পেট ভরে খাচ্ছে, এই অপরাধবােধ তাকে ভিতরে ভিতরে পুড়িয়ে মারতে থাকে, ফুটপাথে অনাহারে মানুষকে মরতে দেখার পর থেকে। মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে জেগে-ওঠা মানবতাবােধ তাকে ভাবাতে থাকে কীভাবে দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষকে সাহায্য করবে তার উপায়। সে অফিস থেকে মাস মাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে দান করে। একবেলা খেয়ে আর একবেলার খাবার ক্ষুধার্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। দিন দিন কেমন যেন হয়ে উঠতে থাকে সে। ফুটপাথে, গাছের তলায়, ডাস্টবিনের ধারে পড়ে থাকা নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়, তাদের দেখে, তাদের সঙ্গে আলাপ করে, বুঝতে পারে তাদের ভাষা এক, কথা বলার ভঙ্গি এক। তাদের দুর্বল মিনমিনে গলার স্বরে অদৃষ্টের দোহাই, দুঃখের কাহিনি। কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নালিশ নেই। তাদের এই চরম দুরবস্থা কীভাবে হল তারা তা জানে না, বােঝে না, তবে মেনে নিয়েছে। মৃত্যুঞ্জয় দিনে দিনে হতাশ হয়ে মুষড়ে পড়েছে এই কারণে যে, সর্বস্ব দিয়েও তাদের কিছু করা যাবে না, এই অসহায়তার কথা ভেবে। পরিশেষে দেখা গেল তার করুণ পরিণতি। তার ধূলিমলিন সিল্কের পাঞ্জাবিখানা গা থেকে অদৃশ্য। পরনে উঠেছে ছেড়া ন্যাকড়া। গায়ে ধুলােমাটির প্রলেপ। মুখ দাড়িতে ঢাকা। তার এই পরিণতির বর্ণনা প্রসঙ্গে আলােচ্য উদ্ধৃতির উপস্থাপনা।
ব্যাখ্যা: মৃত্যুঞ্জয় এখন আর অফিস চাকুরে উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষ নয়। সুখেস্বাচ্ছন্দ্যে, বিলাসিতায় ও ভােগের ঘেরাটোপে থাকা একক ব্যক্তিমানুষ সে নয়। সে মানবিকতায় উজ্জীবিত হয়ে, নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষের প্রতি সত্যিকার সহমর্মী হয়ে নেমে এসেছে নিরন্ন ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে তাদের দশজনের একজন হয়ে। ব্যক্তি এখন সমষ্টিতে লীন। একাত্ম। তার বুর্জোয়া আভিজাত্যের খােলস ফেলে রেখে সে এখন নিরন্ন সর্বহারাদের একজন। তাদের মতাে হাতে একটি ছােটো মগ তুলে নিয়েছে। তাদের সঙ্গে সে ফুটপাথে পড়ে থাকে। তাদের মতােই কাড়াকাড়ি মারামারি করে লঙ্গরখানার খিচুড়ি খায়। তার গলায় একই কথা উচ্চারিত হয়, ‘গাঁ থেকে এইছি। খেতে পাই নে বাবা। আমায় খেতে দাও। লােকদেখানাে মেকি দরদ, সহানুভূতি ও মমত্বের বিলাসিতা নয়, মনে-প্রাণে-অন্তরে সর্বহারার দুরবস্থাকে গ্রহণ করে প্রকৃত সর্বহারা হয়ে ওঠা।
১। ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্পের উৎস নির্ণয় করো এবং গল্পটির সারাংশ লেখো। [1+4] ‘Ans./উত্তর click here
২। গল্পকার মানিক বন্দ্যেপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্প আলোচনা প্রসঙ্গে নামকরণ কতখানি যথাযথ ও সার্থক হয়েছে আলোচনা করো। ‘Ans./উত্তর click here
৩। ‘নইলে দর্শনের অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই।’ –কার, কী দর্শনের কথা বলা হয়েছে? অনেক আগেই দর্শন ঘটে যাওয়া সম্ভব হয়নি কেন? ‘Ans./উত্তর click here
৪। তখন সে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে।—“তখন’ বলতে কখন? রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী? সে যে রীতিমতাে কাবু হয়েছে তার কী লক্ষণ দেখা গেল? [১+২+২] Ans./উত্তর click here
৫। কী ঘটনার ফলে মৃত্যুঞ্জয় শুন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইল-আলােচনা করাে। ওই প্রসঙ্গে ‘শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। [৩+২] ‘Ans./উত্তর click here
৬। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্পেৱ নিখিল চরিত্রটি আলােচনা করাে। [৫] ‘Ans./উত্তর click here
৭। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্পের মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটি আলােচনা করাে। [৫] ‘Ans./উত্তর click here
৮। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্প অবলম্বনে মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিল চরিত্রের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও। [৫] Ans./উত্তর click here
৯। মৃত্যুঞ্জয়ৱ ৱকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল বড় একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে।—মৃত্যুঞ্জয়েৱ কী এমন দেখেছে যে, তা নিখিলেৱ অনুমানের কারণ হয়েছে? বড় একটা সমস্যা কী? সে সমস্যার সঙ্গে কীৱকম সঘাত হয়েছে বলে নিখিলের অনুমান? [২+১+২] Ans./উত্তর click here
১০। নিখিলেৱ মনে হল, মৃত্যুঞ্জয়ৱ ভিতৱটা সে পৱিষ্কার দেখতে পাচ্ছে —এই পৱিষ্কার। দেখা প্রসঙ্গে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের ধারণা সম্পর্কে যা ভেবেছে তা বিবৃত কৱা। নিখিলের ওই ধারণা যে ঠিক নয়, মৃত্যুঞ্জয়ের জবাবে কীভাবে তা প্রমাণিত হল লেখাে। [২+৩] Ans./উত্তর click here
১১। মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল কৱতে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।—মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকে কেন? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল বিক্ষুদ্ধ চিত্ত কী ভাবতে লাগল লেখাে। (২+৩] Ans./উত্তর click here
১২। কদিন পরেই মাইনর তারিখ এল-মাইলের ব্যাপাৱাকে ঘিরে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনােভাব বিশ্লেষণ করা [২+৩] Ans./উত্তর click here
১৩। ‘ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা। কে, কাকে ও কী প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? উধৃত বাক্যেৱ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। [১+১+৩] Ans./উত্তর click here
১৪।‘তাৱপৱ দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।—মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তনের ছবিটি ফুটিয়ে তােলাে এবং তার লন্ধ বােধ ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দাও। [৩+২] Ans./উত্তর click here
১৫। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয় মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির শােচনীয় অবস্থার কাৱণ আলােচনা প্রসঙ্গে শােচনীয় অবস্থাৱ ছবিটি তােমার ভাষায় আঁকো। (১+২+২]
অথবা, ‘মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয়।—মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? [১+8] Ans./উত্তর click here
১৬।মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্প অবলম্বনে টুনুর মায়ের চরিত্র আলােচনা করাে। [৫] Ans./উত্তর click here
১৭। গাঁ থেকে এইছি। খেতে পাই নে বাবা। আমায় খেতে দাও -মৃত্যুঞ্জয়ের এই পরিবর্তন ও পরিণতিৱ ইতিবৃত্ত সংক্ষেপে লেখাে। এই প্রসঙ্গে লেখকের বক্তব্য বিশ্লেষণ করাে। (৩+২] Ans./উত্তর click here
প্রশ্ন ৩.১৮। ছােটোগল্প হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েৱ কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্পটি কতখানি সার্থক—আলােচনা করাে। [৫] Ans./উত্তর click here
