ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস লেখো।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস লেখো।
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ভারতের শিল্প সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্ঞা হল চলচ্চিত্র। আর বর্তমানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রচুর সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মিত হতে চলেছে। আধুনিক ভারতে নারী ও পুরুষের পোশাক ও পরিচ্ছদ ভিন্ন প্রকৃতির।

ভারতীয় চলচ্চিত্র : ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে দাদাসাহেব ফালকে “হরিশচন্দ্র’ নামে ভারতে প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র রূপায়ণ করেন। প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘আলমআড়া’ এর আবির্ভাব ঘটে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে । ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে প্রমথনাথ বড়ুয়ার পরিচালনায় শরৎচন্দ্রের “দেবদাস” চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তিনজন স্বনামধন্য ব্যস্তিত্ব হলেন সত্যজিৎ রায়, খত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন প্রমুখ ।

বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র : আধুনিক ভারতে গত তিন-চার দশক ধরে সিনেমা তৈরির পিছনে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির বিষয় অপেক্ষা দর্শকের আধুনিকতার জৌলুস দেখানোর বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।

বিভিন্ন প্রদেশের নারীর পোশাকের বৈচিত্র্য : উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান অঞলের নারীরা অধিকাংশই সালোয়ার কামিজ ব্যবহার করেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম অঞলের নারীরা মেখলা চাদরে অভ্যস্ত। অধিকাংশ মুসলিম নারীরা বোরখা পড়ে চলতে অভ্যস্ত। শহর ও নগরাঞলের গ্রামাঞ্লের কমবয়সি নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ চুড়িদার-পাজামা ও সালোয়ার কামিজ-এ আধিক্য।

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের পুরুষ ও নারীদের পোশাক ও পরিচ্ছদ : ভারতবর্ষের বাঙালি পুরুষ আবহমান কাল ধরে ধুতি-পাঞ্জাবিতে অভ্যস্ত । দক্ষিণ ভারতের পুরুষেরা ধুতিকে দোপাট্টা করে খালি গা বা উত্তরীয় পড়তে অভ্যস্ত। উত্তর ভারতের সাধারণ মানুষেরা হাটুর ওপরে ধুতি ও গায়ে একটা গামছা জাতীয় পোশাক পড়েন। মুসলিমরা অনেক সময় শেরওয়ানি পরে ও অনেক ক্ষেত্রে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরেন। বর্তমানে শিক্ষিত ও কর্মরত পুরুষেরা জামা-প্যান্ট পরতেই বেশি আগ্রহী

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্‌লের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন সূত্রে ও নারীদের বাড়ির বাইরে কাজের সূত্রে পোশাক-পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য ক্রমশ কমে আসছে।