বিনয়, বাদল, দীনেশ স্মরণীয় কেন?

বিনয়, বাদল, দীনেশ স্মরণীয় কেন?
উত্তর : ভূমিকা : বিংশ শতাব্দীর প্রথমে গাম্ধিজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলার বিপ্লবীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলেন যার মধ্যে বিনয়-বাদল-দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান ছিল অন্যতম।

বিপ্লবী কার্যকলাপ :
লেম্যান হত্যা : বিপ্লবী বিনয় বসু ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দের ১৯ আগস্ট ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে বাংলার পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল লেম্যান এবং পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট হাডসন-কে গুলি করেন।

রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ : বিনয়-বাদল-দীনেশ বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের মূল কেন্দ্র রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ করে কারা বিভাগের অত্যাচারী ইন্সপেক্টর জেনারেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করে (১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর) ফলস্বরূপ পুলিশের সঙ্গে তিন তরুণের লড়াই শুরু হয়। যা “অদিন্দ যুদ্ধ” নামে খ্যাত। ইংরেজদের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হওয়া অসম্ভব ভেবে তিনজনই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ফলে বাদল গুপ্ত সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান কয়েকদিন পরেই হাসপাতালে বিনয় বসু মারা যান এবং দীনেশ গুপ্তের মৃতুদণ্ড

উপসংহার : পরিশেষে উল্লেখ্য, বিনয় বাদল ও দীনেশ এই নির্ভাঁক দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও দুঃসাহসিক কমিটি একদিকে যেমন ব্রিটিশ শাসকদের উদ্বিগ্ন ও ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল ঠিক তেমনি অন্যদিকে ভারতীয় বিপ্লবীদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে উজ্জীবিত করেছিল। পরবর্তীকালে এই তিন বিপ্লবীর নাম অনুসারেই কলকাতা ডালহৌসি স্কোয়ারের নামকরণ করা।