রশিদ আলি দিবস” সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

“রশিদ আলি দিবস” সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর : রশিদ আলি ছিলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপটেন। ব্রিটিশ সরকারের সামরিক আদালতে তাঁকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় গণ আন্দোলন হয় এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ‘রশিদ আলি দিবস” হিসেবে পালিত হয়।
রশিদ আলি দিবস : ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১০ ফেব্রুয়ারি দিল্লির লালকেল্লাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের অফিসার ক্যাপটেন রশিদ আলির বিচার হয় ও তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনার কলকাতা পুনরায় উত্তাল হয়ে ওঠে এবং ছাত্র বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সরকারের দমননীতি : আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে এবং সরকারি মতে ৮৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়। যদিও বেসরকারি মতে নিহতের সংখ্যা ছিল ২০০-র বেশি।
তাৎপর্য : (১) রশিদ আলি দিবসের প্রভাবে ১৩-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকাসহ বহরমপুর, কৃয্ননগর, রানাঘাট, মেদিনীপুর প্রভৃতি শহরেও ধর্মঘট পালিত হয়। (২) এটি স্থানীয় বা প্রাদেশিক ঘটনার পরিধি ছাড়িয়ে জাতীয় চরিত্র নেয়। (৩) এই আন্দোলনের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম এঁক্য জোরদার হয়ে ওঠে ৷ (৪) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অহিংস গণ আন্দোলন হিংসাত্মক আন্দোলনে পরিণত হয়।
উপসংহার : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্য রশিদ আলির বিচারকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা ভারতীয় জনমানসে প্রবল উৎসাহ সৃষ্টি করেছিল।