টীকা লেখো : সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা।

টীকা লেখো : সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষে ব্রিটিশ সরকার সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িক শত্তিকে মতদার্শের নীতি দেন। এই প্রচেষ্টায় পরিণতি ছিল ব্রিটিশ নীতিতে বলা হয়, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, আ্যাংলো ইন্ডিয়ান, বর্ণ হিন্দু, অনুন্নত শ্রেণির হিন্দু প্রভৃতি প্রত্যেক সম্প্রদায় আইনসভার পৃথক নির্বাচনের অধিকার পাবে। এভাবে ভারতে সামগ্রিক বিভেদ সৃষ্টির পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করা
মূল বসত্তব্য : সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারায় ঘোষণা করা হয় যে-_
(১) মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, আংলো–_ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হবে।
(২) হিন্দু সমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণি (Depressed Classes) তে বিভ্ত করে অনুন্নত শ্রেণির পৃথক নির্বাচন বিধি মেনে চলা হবে।
মূল্যায়ন : সাংবিধানিক দিক দিয়ে “সাম্প্রদায়িক বীটোয়ারা” নীতি ছিল গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি। কিন্তু ভারতের জাতীয় নেতাদের কাছে এই নীতি ছিল ব্রিটিশের বিভাজন ও শাসন নীতি’র প্রতিফলন। এই বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধি সরব হন ও যারবেদা জেলে অনশন শুরু করেন।