অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে জাতীয়তাবোধের প্রসার ঘটিয়েছিলেন?

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে জাতীয়তাবোধের প্রসার ঘটিয়েছিলেন?
উত্তর : ভূমিকা : বাংলার শিল্পকলার ইতিহাসে “ঠাকুরবাড়ির” অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ্য । এক্ষেত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার দাদা গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা সর্বাধিক।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা *“ভারতমাতা’ চিত্র ভারতে জাতীয়তাবোধের বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

ভারতমাতার বৈশিষ্ট্য : অবনীন্দ্রনাথ ভারতমাতাকে এঁকেছিলেন একজন হিন্দু দেবী হিসেবে যাঁর পরনে আছে গেরুয়া রঙের পোশাক। দেবীর চার হাতে ধরা আছে বেদ, মালা, ধানের শিষ ও সাদা বস্ত্র। ভারতমাতা নামক দেবী সবুজ পৃথিবীর ওপর দাড়িয়ে আছেন যাঁর পিছনে দেখা যাচ্ছে স্বচ্ছ নীল আকাশ।
গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর জোড়াসীকোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই গগনেন্দ্রনাথ সেই সময়ের একজন চিত্রশিল্পী। বিশেষত ব্যঙ্গাচিত্রের শিল্পী (cartoonist) হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছিলেন।

উপসংহার : তৎকালীন সমাজের নানাদিক ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হত। জনমনে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ত এভাবে জাতীয়তাবাদ বিকাশে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্চিত্র নানাভাবে সাহায্য করেছিল।