রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর- মান ৮
৩। ভারতবিবেক’ নাট্যাংশে চিত্রিত নরেন্দ্রের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে। [8]
উ: শ্ৰীযতীন্দ্রবিমল চৌধুরী রচিত ভারতবিবেকম নাটকের পাঠ্যাংশের অন্তর্গত প্রথম দৃশ্যের একটি অংশের নাম শ্রীরামকৃষ্ণেণ সহ শ্রীনরেন্দ্রস্য সাক্ষাৎকারঃ। এই দৃশ্যে রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে নরেন্দ্রের দু-একটি সংলাপে এবং রামকৃষ্ণদেবের স্বগতােক্তিতে নরেন্দ্রের চরিত্রের কয়েকটি দিক, ধরা পড়ে। তার চরিত্রের দিকগুলি নিচে আলােচনা করা হল –
প্রথমত :শ্রীনরেন্দ্রনাথ যেমন ব্রাহ্মমন্দিরে যায় তেমন নিজের পড়াশুনা করে এবং তারই সঙ্গে গানের চর্চা করে। শ্যামা মায়ের পরমতত্ত্বের প্রতি সে যে ভক্তিমান তা রামকৃষ্ণদেবের কাছে ধরা পড়েছে।
দ্বিতীয়ত : নরেন্দ্রনাথ সুরেন্দ্রনাথের পরিচিত, তার গৃহের নিকট নরেন্দ্রনাথের গৃহ। গানে যে সে নিপুণ তা সুরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণদেবকে বলেছেন। রামকৃষ্ণদেবও নরেন্দ্রের গান শুনে মুগ্ধ হলেন এবং বলে উঠলেন – নরেন্দ্র! অপূর্বঃ তব কণ্ঠস্বরঃ।
তৃতীয়ত : নরেন্দ্র ছিলেন আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও বাস্তববাদী। ছােটো থেকে সে ছিল দুরন্ত দুঃসাহসী। লেখাপড়ায় তার গভীর আগ্রহ ছিল, তিনি দর্শন পড়লেও তত্ত্বকথায় তত আগ্রহ ছিল না। রামকৃষ্ণকে দেখে নরেন্দ্রের মনে হয় ব্যক্তিটি যে কোটি সূর্যের মতাে প্রভাময়, আবার কোটি চন্দ্রের মতাে সুশীতল। এটা বােধ হলেও পরে তার ক্ষণিকের চিত্তবিকৃত বলে মনে হয়, কারণ তার শিক্ষা মানবশরীরে দেবত্ত্বারােপ সমর্থন করে না। এই চিত্তবিকৃতির জন্য সে তার বিদ্যাকে ধিক্কার দেয়। এই আচরণের মধ্যে দিয়ে তার চরিত্রের আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতার দিক পরিস্ফুট হয়।
চতুর্থত : রামকৃষ্ণদেব প্রথম দেখে বুঝেছিলেন তিনি তার একান্ত কাঙ্ক্ষিত শিবসম উত্তরসাধকের সন্ধান পেলেন। তিনি মনে করেছিলেন এই যুবক জগতের সমস্ত কল্যাণকারী, দুঃখহারিণী শিব মনুষ্যরূপে আবির্ভূত হয়েছেন, নরেন্দ্রের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটি পরবর্তীকালে সবার সামনে প্রকাশিত হয়েছে।
2. একাদশ শ্রেণি “SAQ” বিষয় ইংরেজি
4. রূপনাৱানেৱ কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন এবং উত্তর (উচ্চমাধ্যমিক)
5. রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বাদশ শ্রেণী
6. দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়
9. কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয় দ্বাদশ শ্রেণি
12. উচ্চমাধ্যমিক”শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয় এর (SAQ)” অধ্যায়(1) “শিখন(Learning)”
13. উচ্চমাধ্যমিক”শিক্ষা বিজ্ঞান বিশ্বের বড় প্রশ্ন এবং উত্তর” অধ্যায়(1) “শিখন(Learning)”
14. উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়