প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষাবিষয়ক দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝ?

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষাবিষয়ক দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ভূমিকা : ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে প্রথম পর্বে প্রাচ্যশিক্ষার প্রসারের ওপরই জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ভারতে প্রাচ্যশিক্ষা না পাশ্চাত্যশিক্ষা–কোন্টি গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়।
মিশনারি ও ভারতীয় বুদ্ধিজীবীকাদের দাবি : ভারতে ইংরেজ মিশনারিরা প্রথম থেকেই ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের ব্যাপারে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, তাঁরা মনে করেন ভারতীয়রা ইংরাজি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে হিন্দুরা তাদের ধর্মের অসারতা বুঝতে পারবে এবং তারা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হবে অপরদিকে ভারতীয়দের বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হলে গৌরা হিন্দুরা কুসংস্কার ও কুপ্রথা মুক্ত হয়ে মনুষ্যত্ব লাভ করবে।

১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ : ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদে ভারতে শিক্ষাখাতে ব্যয় করার জন্য এক লক্ষ টাকা ধার্য করা হয় এর পর জনশিক্ষার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়।

রামমোহনের অভিমত : রামমোহন চেয়েছিলেন সনদ আইনে বরাদ্দ টাকা এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় হোক এ ব্যাপারে তিনি লর্ড আমহাস্টকে একটি পত্রে তার মত জানিয়েছিলেন। অবশেষে প্রাচ্য না পাশ্চাত্য–কোন্‌ খাতে টাকা ব্যয় করা হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূচনা ঘটে।
উপসংহার : ভারতে শিক্ষাবিস্তারে প্রাচ্যপন্থী পাশ্চাত্য পনল্থীদের মধ্যে বিরোধ, নিষ্পতিঘটে মেকলে মিনিট দ্বারা। এরপর সরকারিভাবে পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রসার ঘটে।