নারীশিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

নারীশিক্ষা প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
 

উত্তর : ভূমিকা : উনিশ শতকে যে সব সংস্কারক সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আধুনিক সমাজ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বহুবিবাহের বিরুদ্ধে বিদ্যাসাগরের প্রতিবাদ : ১৮৫০ খ্রিঃ আইন বলে হিন্দুর বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার জন্য বিদ্যাসাগর ৫০ হাজার মানুষের স্বাক্ষরসহ এক আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠান। কিন্তু সম্ভবত রাজনৈতিক কারণে সরকার এই মর্মে কোনাে আইন প্রণয়ন করেননি।
 
বিদ্যাসাগরের উপলব্ধি : বিদ্যাসাগর উপলব্ধি করেন যে, নারী জাতির উন্নতি না ঘটলে বাংলার সমাজ সংস্কৃতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়। এইজন্য তাদের মধ্যে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানাে দরকার।
 
বাল্যবিবাহের বিরােধিতা ও বিধবাবিবাহ আন্দোলন : বিদ্যাসাগর বাল্যবিবাহ রােধ, বিধবাবিবাহ প্রবর্তন এবং বিভিন্ন সামাজিক কু-প্রথার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তােলেন যার ফলস্বরূপ ১৮৫৬ খ্রিঃ বিধবাবিবাহ আইন সিদ্ধ হয়।
 
উপসংহার :নারীমুক্তি আন্দোলনের ক্ষেত্রে নারীশিক্ষার প্রসার বিদ্যাসাগরের সবথেকে সার্থক আন্দোলন। নারীসমাজের উন্নতির জন্য ধর্মশাস্ত্রের উপর বেশি জোর দেন।