তিনপাহাড়ের কোলে | শক্তি চট্টোপাধ্যায় | মাধ্যমিক পাঠ্য বইয়ের কবিতা

তিনপাহাড়ের কোলে

তিনপাহাড়ের কোলে

শক্তি চট্টোপাধ্যায়

অন্ধকারে তিনপাহাড়ে ট্রেনের থেকে নেমে,
হাওয়াবিলাসী তিনজোড়া চোখ আটকে গেল ফ্রেমে।
জনমানববিহীন স্টেশন, আকাশ ভরা তারায়,
এমন একটি দেশে আসলে সক্কলে পথ হারায়।

পথ হারিয়ে যায় যেদিকে, সেদিকে পথ আছেই,
ঝরনা, কাদড়, টিলা, পাথর বনভূমির কাছেই।
বনভূমির ওপারে কোন মনােভূমির দয়,
ফুসুর ফাসুর ঘুসুর ঘাসুর স্বপ্নে কথা হয় !

পুব আকাশে আস্তে-ধীরে আলাের ঘােমটা খােলে,
শক্ত সবুজ গাঁ ভেসেছে তিনপাহাড়ের কোলে।
সহজ করে বাঁচা কি আর খাঁচাতে সম্ভব?
তিনপাহাড়ের নকশিকাঁথায় শিশুর কলবর।


শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৩-১৯৯৫): বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি। জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু গ্রামে। পড়াশুনােকরেছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে অধ্যয়ন অসমাপ্ত।বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় যম’কবিতা লিখে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য। তাঁর কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫১। প্রণীত-অনূদিত-সম্পাদিত কবিতা ও গদ্যগ্রন্থের সংখ্যা ১১১। এগুলির মধ্যে ধর্মে আছি জিরাফেও আছি’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পােস্টম্যান’, ‘সােনার মাছিখুন করেছি’, ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ উল্লেখযােগ্য কাব্যগ্রন্থ। কুয়ােতলা’, ‘অবনী বাড়ি আছাে?’তার লেখা বিখ্যাত দুটি উপন্যাস। তিনি কৃত্তিবাস’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কবিতা সাপ্তাহিকী’ প্রকাশ করে কাব্যজগতে আললাড়ন সৃষ্টি করেন। ‘অতিথিঅধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনায় রত থাকাকালীন আকস্মিক হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। তিনি আনন্দ পুরস্কার’, ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ এবং‘সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনপাহাড়ের কোলে

 

[sc name=”last”]

তিনপাহাড়ের কোলে