সাম্রাজ্যের পতন & প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ , মেসোপটেমিয়া ( ইতিহাস চেতনা xi)


⥁মৌর্য সাম্রাজ্য : অশােকের পরবর্তী মৌর্য সম্রাটরা ছিলেন অযােগ্য শাসক। তাঁদের রাজত্বকালে মৌর্য সাম্রাজ্য দ্রুত পতনের দিকে এগিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত অশােকের মৃত্যুর (২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যেই মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করে তাঁর মন্ত্রী পুষ্যমিত্র শুঙ্গ ১৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (মতান্তরে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) মগধের সিংহাসনে বসলে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ হয়। 

⥁ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্য : আলেকজান্ডারের মৃত্যুর (৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) পরবর্তীকালে ম্যাসিডনের বিভিন্ন সেনাপতির মধ্যে সাম্রাজ্য বিভক্ত হয়ে যায়। ম্যাসিডনিয়া ও গ্রিসে প্রথম অ্যান্টিগােনাসের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে ম্যাসিডনের শাসক পঞম ফিলিপ (২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ১৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) রােমের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তিনি প্রথম ম্যাসিডনের যুদ্ধে (২১৫ – ২০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) জয়ী হলেও দ্বিতীয় ম্যাসিডনের যুদ্ধে (২০০-১৯৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) রােমের কাছে পরাজিত হন। ফলে ম্যাসিডনের নৌবাহিনীর একটি বড়াে অংশ, একটি বড়াে ভূখণ্ড ও প্রচুর অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে রােমের হাতে তুলে দিতে হয়। এরপর পারসিয়াস (১৭৯-১৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) তৃতীয় ম্যাসিডনের যুদ্ধে রােমানদের কাছে পরাজিত হয়ে সিংহাসনচ্যুত হন। ১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ম্যাসিডন সম্পূর্ণ রােমানদের দখলে চলে যায়।

                                                                                                                                                                  

১) পৌরাণিক কাহিনি : মেসোপটেমিয়াতেও কাদা-পাটার মধ্যে নানা পুরাণ-কথা ছড়িয়ে আছে। একটি পুরাণে একটি জলপ্লাবনের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। কেনো পুরাণে দেবতা ও অসুরের দ্বন্দ্ব, মানুষের ওপর দেবতারা রোষ, জলপ্লাবন এবং শেষপর্যন্ত একটি পরিবার বাদে সব মানুষের মৃত্যু প্রভৃতি কাহিনি বিধৃত হয়েছে। মেসোপটেমিয়ার এই কাহিনি অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।

২) ধর্মের গুরুত্ব প্রকাশ প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃতির সামনে মানুষ বড়ো অসহায়। এর ফলে দেবদেবীর প্রতি ভক্তি সুদৃঢ় হয়। এর সুযোগ নিয়ে পুরোহিতরা প্রচার করতে থাকে যে, দেবতার নির্দেশ অমান্য করলে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দৃর্যোগ ও অন্যান্য বিপর্যয় নেমে আসবে।