মহারাণীর ঘােষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী | মাধ্যমিক ইতিহাস নোট

 চতুর্থ অধ্যায় 

সংঘবদ্ধতার গােড়ার কথা বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য

[su_posts template=”templates/list-loop.php” posts_per_page=”3″ tax_term=”559″ order=”desc”]

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর: প্রশ্নমান ৪

মহারাণীর ঘােষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী?

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিঃ মহাবিদ্রোহের অভিঘাতে ভারতে কোম্পানির শাসনের উপর যবনিকা নেমে আসে, পরিবর্তে সূচিত হয় ইংল্যান্ডের মহারাণীর প্রত্যক্ষ শাসন। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত এক দরবারে এক রাজকীয় ঘােষণাপত্র জারি করে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেন এবং ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শ প্রবর্তনের কথা ঘােষণা করে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন।১৮৫৮র ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে মহারাণীর ঘােষিত এই ঐতিহাসিক প্রচারপত্র মহারাণীর ঘােষণাপত্র’ নামে পরিচিত।

মহারাণীর ঘােষণাপত্র মহারাণীর ঘােষণায় বলা হয় যে,

(i) ভারতবাসীর ধর্মীয় ও সামাজিক কোনাে ব্যাপারেই সরকার কোনােরূপ হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে;

(ii) প্রত্যেক ভারতবাসী ধর্মীয় স্বাধীনতা ভােগ করবে;

(iii) জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে যােগ্যতাসম্পন্ন সকল ভারতবাসীই সরকারি চাকুরীতে নিযুক্ত হতে পারবে;

(iv) দেশীয় রাজারা দত্তকপুত্র গ্রহণের অধিকার ফিরে পাবেন;

(v) সাম্রাজ্যবিস্তার নীতি পরিত্যক্ত হবে;

(vi) স্বত্ববিলােপ নীতি-ও সরকার প্রত্যাহার করে নেবে;

(vii) দেশীয় রাজাদের আশ্বস্ত করা হয় যে, কোম্পানির সাথে তাদের এযাবৎ স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি ও সন্ধিপত্রগুলি যথাযথ রক্ষিত হবে প্রভৃতি।

ঐতিহাসিক তাৎপর্য: মহারাণীর ঘােষণাপত্র ভারতে দীর্ঘ একশত বছরের কোম্পানির রাজত্বের অবসান ঘটায়, পরিবর্তে সূচিত হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রত্যক্ষ শাসন। বস্তুতপক্ষে, ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট থেকে ধাপে ধাপে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে প্রক্রিয়া চলছিল, ইতিহাসের এই পর্বে তা সম্পূর্ণ হয়। ভাইসরয়’ নামধারী রাজপ্রতিনিধির হাতে শাসনভার অর্পিত হয়।

সাধারণ ভারতবাসীর কাছে মহারাণীর ঘােষণাপত্র আসলে ছিল গালভরা প্রতিশ্রুতির সংকলন মাত্র। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণােদিত এই ঘােযণায় যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রায় কোনােটিই ভবিষ্যতে রক্ষিত হয়নি। ভারতবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ন্যায় বিচার ও প্রতিনিধিত্ব মূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের কোনাে প্রচেষ্টা এতে ছিল না, বরং তা ছিল নতুন পাত্রে পুরাতন পানীয় পরিবেশনের অপচেষ্টা মাত্র। বাস্তবিকই শাসকের নাম ফলকের পরিবর্তন ব্যতীত শাসনের চরিত্রগত কোনােরূপ পরিবর্তন সাধিত হয়নি। ডঃ বিপনচন্দ্র একে রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজি’ বলেই আখ্যায়িত করেছেন।


[su_posts template=”templates/list-loop.php” posts_per_page=”10″ tax_term=”555″ order=”desc”]

Madhyamik History Notes

[su_posts template=”templates/list-loop.php” posts_per_page=”10″ tax_term=”1090″ order=”desc”]

Madhyamik Suggestion

[su_posts template=”templates/list-loop.php” tax_term=”559″ order=”desc”]

Madhyamik Result & Routine

[su_posts template=”templates/list-loop.php” posts_per_page=”5″ tax_term=”1091″ order=”desc”]