বিপিনচন্দ্র পাল তার “সত্তর বৎসর” আত্মজীবনীতে কী ব্যাখ্যা করেছেন?অথবাবিপিনচন্দ্র পালের আত্মনচরিত ‘সত্তর বৎসর” কীভাবে ভারতের আধুনিকইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষণ করো।অথবাএঁতিহাসিক উপাদান হিসাবে “সত্তর বৎসরের” গুরুত্ব কী?

বিপিনচন্দ্র পাল তার ‘সত্তর বৎসর” আত্মজীবনীতে কী ব্যাখ্যা করেছেন?
              অথবা
বিপিনচন্দ্র পালের আত্মনচরিত ‘সত্তর বৎসর” কীভাবে ভারতের আধুনিক
ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষণ করো।

              অথবা
এঁতিহাসিক উপাদান হিসাবে “সত্তর বৎসরের” গুরুত্ব কী?
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ইতিহাস রচনার উপাদানের অন্যতম উপাদান হল স্মৃতিকথা বা আত্মকথন। প্রখ্যাত চরমপন্থী বিপ্লবী, সমাজসংস্কারক বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী হল “সত্তর বৎসর’।

তাঁর জীবন : এই রচনার তার জন্মস্থান শ্রীহট্রের কথা, তার পরিবার এবং সেই সমাজের কথা, কলকাতায় আসা, প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রজীবন ইত্যাদি বিষয়েও নানা তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলার ইতিহাস : আলোচ্য গ্রন্থটি বাংলার সামাজিক জীবন ও সমাজ তথা রাষ্ট্রের যুগ পরিবর্তনের সাক্ষী। কেন-না বিপিনচন্দ্র উনবিংশ ও বিংশ দুটি শতাব্দীর পট পরিবর্তন লক্ষ করেছেন।

সংস্কৃতি : ‘সত্তর বৎসর” থেকে গ্রামীণ সংস্কৃতি অর্থাৎ দোল-দুর্গোৎসব, যাত্রাগান ও পুরাণপাঠ, বিবাহ প্রথার পাশাপাশি কলকাতার তৎকালীন সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস ও বিধিনিষেধ, মধ্যপান ও মদ্যপান নিবারণী সমিতির কথা জানা যায়।

ব্রান্মসসমাজের রাজনৈতিক আদর্শ : তিনি দেখিয়েছেন ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালিরা নতুন সামাজিক আদর্শের সন্ধান পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজও এই শিক্ষিত বাঙালিদের মধ্যে স্বাধীনতার আদর্শের সঞার করেছিল।

উপসংহার : বিপিনচন্দ্র পাল এই আত্মজীবনীটি রচনা করেছেন ১৯২৬ খ্রিঃ বাঙলার সমাজ, কলকাতার অবস্থা জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এই সবই স্থান পেয়েছে। “সত্তর বৎসর ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এর বিশেষ গুরুত্ব আছে।