তখন রীতিমতাে করুণ অবস্থা’কার, কোন করুণ অবস্থার কথা বলা হয়েছে?

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ১৫০টি শব্দে) : মান-5

‘তখন রীতিমতাে করুণ অবস্থা’ — কার, কোন করুণ অবস্থার কথা বলা হয়েছে? কোন প্রসঙ্গে এই বক্তব্য?১+৪

  উ: ভারতীয় কথা সাহিত্যের অন্যতম রূপকার কর্তার সিং দুগগাল প্রণীত ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানার করুণ অবস্থার। কথা বলা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত মর্দানা তৃষ্ণার জল পায়নি। তাকে জল দিতে পারতেন বলী কান্ধারী। কিন্তু গুরু নানকের শিষ্য হওয়ায় তাকে বিতাড়িত করেছিলেন। তাই । তার করুণ অবস্থা। হাসান আব্দালেরূ জঙ্গলে গুরু নানকের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলেন শিষ্য মর্দানা।

কিন্তু জনমানবহীন . প্রান্তরে কোথাও জলের চিহ্ন নেই। অনেক দূরে পর্যন্ত জল পাওয়া যাবে না। অথচ সে পথ চলতে রাজি না হলে বিপদে পড়তে হবে সবাইকে। সাধকের চলার পথে। প্রতিকূলতা আসবেই। তা অতিক্রম করে গিয়ে চলতে হয়। কিন্তু মর্দানা কিছুতেই জলকষ্ট সহ্য করতে না পারায় গুরু তাকে পাহাড়ের চুড়ােয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কথা বললেন, যেখানে মর্দানা পৌঁছালে জল – পেতে পারে। গুরুর নির্দেশে মর্দানা গেল বলী কান্ধারীর কাছে। তাঁর

কুয়ােয় যথেষ্ট জল ছিল। কিন্তু নানকের নাম শােনামাত্রই বলী রাগে ক্ষোভে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেন। মর্দানাকে কুটির দ্বার থেকে বিতাড়িত করে চরম অধর্মের পরিচয় দিয়েছেন বলী কান্ধারী। শুধু তাই নয়, তিনি যে কর্কশ ভাষায় কথা বলেছিলেন সে কথাও জানান। সব শুনে গুরু নানক তাঁর শিষ্যকে পুনরায় বলী কান্ধারীর কাছে বিনীত নম্রভাবে যাওয়ার পরার্শ দিয়েছিলেন। ভয়ঙ্কর তৃষ্ণা বুকের মধ্যে ধারণ করে পুনরায় বলী কান্ধারীর কাছে মর্দানা।

হাজির হলে তিনি জানিয়েছিলেন, আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না। এবার ও মর্দানাকে তাড়িয়ে দিয়ে চরম অর্ধর্মের পরিচয় দিলেন বলী। জলকষ্টে মৃতপ্রায় মর্দানা নিষ্ফল আর্তনাদে ফিরে এল গুরুর কাছে। সেই অবস্থার কথা বােঝাতে আলােচ্য প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে।



[su_posts posts_per_page=”8″ tax_term=”316″ order=”desc”]