টীকা : শ্রীরামকৃয় পরমহংসদেব।

টীকা : শ্রীরামকৃয় পরমহংসদেব।
উত্তর : ভূমিকা : রামকৃয়ন পরমহংসদেবের বাল্যনাম ছিল গদাধর চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন হুগলি জেলার কামারপুকুরে। তোতাপুরী গোস্বামীর কাছে দীক্ষা নিয়ে গদাধর হলেন রামকৃয়ন।
যত মত তত পথ : রামকৃয্ন্দেব বলেছিলেন “যত মত তত পথ’ অর্থাৎ বৈয়ব, শান্ত, ইসলাম, খ্রিস্ট সমস্ত পথেই ঈশ্বরকে লাভ করা যায়।
রামকৃয়ের অবদান : রামকৃয়ের শ্রেষ্ঠ অবদান হল-_“তিনি আবার আমাদের হারান ঈশ্বর ফিরিয়ে দিলেন। যে ঈশ্বরকে ব্রহ্সমাজ বিতর্কে ও হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার কলহে আমরা হারাতে বসেছিলাম।

মানব সেবার আদর্শ : জীব দয়া নয় “শিবজ্ঞানে জীবসেবা’-র আদশই তিনি তুলে ধরেছেন। জীবজগতের কল্যাণসাধন ছিল তার মানবসেবার মূল কথা।
ধর্মের সহজ ব্যাখ্যা : তিনি ইসলাম, খ্রিস্ট, হিন্দু সমস্ত ধর্মেই সিদ্ধিলাভ করেন। তাই তিনি সকল মানুষকে ঈশ্বরের জন্য ধর্মের সহজ পথ দেখিয়ে দিতে পেরেছেন।
নারী মুস্তির আদর্শ : নারী ছিল তার কাছে জগন্মাতার প্রতিমূর্তি নারীর দুর্দশা মোচন ও সমাজে নারীর নেতৃত্বকে তিনি স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা : শ্রীরামকৃয়ের মতে প্রত্যেক মানুষই হল শত্তির আঁধার, তাই তিনি প্রত্যেক মানুষকে সমান মর্যাদা দানের কথা প্রচার করেন।

মূল্যায়ন : শ্রীরামকৃয়ের এই সমন্বয়বাদী মতাদর্শ একদিকে যেমন বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের মধ্যে সংহতি দান করেছিল তিনি ক্ষয়িয়ু হিন্দু ধর্মেও প্রাণসঞ্জার করেছিলেন।