চোখ তাে সবুজ চায়। দেহ চায় সবুজ বাগান’ – উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): মান-৫

চোখ তাে সবুজ চায়। দেহ চায় সবুজ বাগান’ – উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।

উ: রবীন্দ্রোত্তর যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের আমি দেখি কবিতায় কবির প্রকৃতির প্রতি
প্রাণময়তার কাছে কবি নিজেকে সমর্পণ করেছেন। হৃদয় দিয়ে তিনি অরণ্য প্রকৃতিকে ভালােবাসেন, প্রকৃতি যেন কবির হৃদয়ে এক অনাবিল প্রশান্তি এনে দেয়।

শহর জীবনের বিবর্ণতায় ক্লান্ত কবি গাছের চিরসবুজ স্পর্শে জেগে উঠতে চেয়েছেন। সভ্য মানুষ নগর সভ্যতার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে তৈরি করেছে সুবিশাল অট্টালিকা। শহুরে মানুষ ভুলে যাচ্ছে সবুজের স্নিগ্ধ ছোঁয়া শরীর মনে নির্মলতা ও কোমলতার স্পর্শ এনে দেয়।

বহুদিন শহরে থাকায় নগর জীবনের ক্লান্তিতে কবিও বেদনাবিধুর। জঙ্গলের চিরসবুজের শ্যামলিমা থেকে বিচ্ছিন্ন কবি তাই অন্তরে অনুভব করেন নিঃসীম শূন্যতা। তিনি জানেন শরীর ও মনের আরােগ্যের জন্য দুচোখ ভরে সবুজকে দেখা দরকার।

সবুজের মধ্যেই প্রাণের আরাম, মানসিক শান্তি, নয়নের স্নিগ্ধতা। কবি তাই দুচোখ মেলে সবুজ দেখতে চান, সবুজের ঘ্রাণ দেহে সাজিয়ে নিতে চান। কবির বিশ্বাস, সবুজের আগমন যেমন বাগানকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলবে, তেমনি মানবদেহে
সবুজের স্পর্শ দূষিত কলুষিতকে নির্মূল করে শরীর ও মনকে সতেজ রাখবে।


[su_posts posts_per_page=”8″ tax_term=”319″ order=”desc”]