‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ভূমিকা অংশের প্রাসঙ্গিকতা আলােচনা করাে।

 আমার বাংলা সুভাষ মুখােপাধ্যায় 
  ভুমিকা  

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : (কমবেশি ১৫০ শব্দে) মান-৫

‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের ভূমিকা অংশের প্রাসঙ্গিকতা আলােচনা করাে।

উ: সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের ‘আমার বাংলা’ গ্রন্থের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভূমিকা। প্রথাগত ও চিরাচরিত ভূমিকার পরিবর্তে লেখক একটু অন্যভাবে এই গ্রন্থের ভূমিকা বর্ণনা করেছেন। এই গ্রন্থ শেখার অভিপ্রায়, কৃতজ্ঞতা স্বীকার এবং রচনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কিত বহু তথ্য লেখক সাবলীলভাবে ভূমিকা অংশে পাঠককে জানিয়েছেন।

তাই প্রসঙ্গক্রমে অতিরিক্ত বেশ কিছু বিষয় লেখকের লেখনীতে উঠে এসেছে। ভূমিকার শুরুতে লেখক চিরপরিচিত বাংলার নিসর্গ সৌন্দর্য প্রকৃতির কথা তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় তুলে ধরেছেন, যার সাথে বিভক্ত বাংলাদেশের প্রচুর তফাৎ বাংলাদেশের পরিচিত ভেড়ামারা, সাড়ার পুল, পদ্মানদী কিংবা গােয়ালন্দের কথা পাঠককে স্মরণ করিয়েছেন, বলেছেন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত মানুষের স্বাধীনদেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুনভাবে বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার কথা।

এমন সুখকর বর্ণনায় লেখক দাফার প্রসঙ্গ এনেছেন। গ্রামবাংলার অতি সাধারণ অনাথ দাফা চোর থেকে ধীরে ধীরে পড়াশােনা শিখে একসময় মুক্তিসংগ্রামে জড়িয়ে পড়েছিল এবং শেষে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী সত্তার প্রতীক হয়ে উঠেছিল দাফা, যে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চেয়েছিল। শান্তিপূর্ণ জীবনের স্বপ্ন দেখেছিল। ভূমিকার শেষ অংশে লেখক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বন্ধু দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে, যিনি তাঁর ‘রংমশাল’ প্রত্রিকায় এক প্রকার জোর করে না সেখালে হয়তাে কখনােই ‘আমার বাংলা গ্রন্থ তিনি লিখতেন না।



[su_posts posts_per_page=”8″ tax_term=”318″ order=”desc”]