‘আনন্দমঠ” উপন্যাসটি কীভাবে জাতিয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল ?

 ‘আনন্দমঠ” উপন্যাসটি কীভাবে জাতিয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল ?

উত্তর : ভূমিকা : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার “আনন্দমঠ’ উপন্যাসের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের প্রচার করেছিলেন। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তার এই উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল স্বদেশ প্রীতি। 

জাতীয়তাবাদী চেতনায় আনন্দমঠ :
১। স্বদেশপ্রেম : বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘“আনন্দমঠ’ উপন্যাস জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেযের সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর মনে স্বাদেশিকতা ও সশস্ত্র অভ্যুখথানের ধারণা সঞ্জারিত করেছিল।
২। বন্দেমাতরম সংগীত : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে জন্মভূমিকে মাতৃরূপে কল্পনা করে “বন্দেমাতরম’ সংগীতটি (১৮৭৫ খ্রিঃ) ছিল পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগীত, বিপ্লবীদের মন্ত্র।
৩। সন্তান দল : বাংলায় মুসলিম রাজশস্তির পতন ও ইংরেজ রাজত্বের প্রতিষ্ঠা এক নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে। এই সংকটকালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশমাতার মুস্তির জন্য সম্ভান দলের আবির্ভাব ঘটে।

৪। আনন্দমঠের মূল বিষয় : আনন্দমঠ উপন্যাসে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একদল আত্মত্যাগী সন্ন্যাসীর কার্যাবলির বিবরণ আছে।

উপসংহার : বাঙালির জাতীয়তা গঠন ও দেশের যুবসম্প্রদায়কে স্বদেশভস্তি, ত্যাগ ও সেবাধর্মে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্য রচিত “আনন্দমঠ’-এর অবদান বাঙালি জাতির জাতীর জীবনগঠনে ও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।