বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ :বৈশিষ্ট্য ও পর্যালােচনা

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর কীরূপ ভূমিকা ছিল? | Madhyamik

 পঞ্চম অধ্যায় 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ :বৈশিষ্ট্য ও পর্যালােচনা

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর: প্রশ্নমান 8

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’-এর কীরূপ ভূমিকা ছিল?

উত্তর: আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে। ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে বসু বিজ্ঞান মন্দির ছিল অগ্রগণ্য।

প্রতিষ্ঠা : ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান সাধক জগদীশচন্দ্র বসু ইংল্যান্ডের রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের আদলে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন বসু বিজ্ঞান মন্দির।

উদ্দেশ্য: এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং জগদীশচন্দ্র লিখেছেন-এর মুখ্য উদ্দেশ্য বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও জ্ঞানের প্রসার ঘটানাে।’ তরুণতর বিজ্ঞানীদের সামনে বিশ্বমানের গবেষণার দ্বার উন্মােচন করে দিতে তিনি এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ব্রতী হন। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত আবিষ্কার হবে, তার সুফলে প্রত্যেকের অধিকার থাকবে।

বহুমুখী বিজ্ঞানচর্চা : বিশুদ্ধ বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে বসু বিজ্ঞান মন্দিরে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, মাইক্রোবায়ােলজি, বায়ােকেমিস্ট্রি, বায়ােফিজিঙ্ক প্রভৃতি বিভাগ খােলা হয়।

পরিচালক সমিতি : বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার পর তার পরিচালনার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সমিতি গঠিত হবে। এই সমিতির সদস্যদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নীলরতন সরকার, ভূপেন্দ্রনাথ বসু এবং স্বয়ং জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন উল্লেখযােগ্য।

উল্লেখযােগ্য আবিষ্কার : বসু বিজ্ঞান মন্দিরে দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং প্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে।

মন্তব্য : ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা তথা নিত্য-নতুন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দির নিঃসন্দেহে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজও এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের প্রথম সারির বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্ররূপে সগৌরবে নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখে চলেছে।


Madhyamik History Notes

Madhyamik Suggestion

Madhyamik Result & Routine

RECENT POST

LATEST POST