মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায় কে বাঁচে!’ গল্প অবলম্বনে টুনুৱ মায়ের চরিত্র আলােচনা করাে

কে বাঁচায় কে বাঁচে বড় প্রশ্ন এবং উত্তর {DTQ}

কে বাঁচায় কে বাঁচে (MCQ)
কে বাঁচায় কে বাঁচে (SAQ)
কে বাঁচায় কে বাঁচে  বড় প্রশ্ন উত্তর [DTQ]
Higher Secondary Bengali Exam Preparation

১৬। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্প অবলম্বনে টুনুৱ মায়ের চরিত্র আলােচনা করাে। [5]

উ: প্রস্তাবনা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে! গল্পটি লেখা হয়েছিল একটি যুগসন্ধিক্ষণে। তখন ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ঘােরতর অবস্থায়। বিশ্বব্যাপী তার প্রত্যক্ষ প্রভাবে আর প্রতিফলনে মানুষ মহাসংকটের মধ্য দিয়ে হাঁটছে। আমাদের দেশ তখন পুরােপুরি দুর্ভিক্ষের কবলে। ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের অলীক আশায় ভিড় জমিয়েছে শহরের ফুটপাথে। না খেয়ে মরছে অসংখ্য মানুষ। এ তাে গেল যুগের কথা। লেখকের ব্যক্তিজীবনও তখন এক সন্ধিক্ষণে। কারণ লেখক চিন্তাভাবনা ও আদর্শগত দিক থেকে সাম্যবাদে দীক্ষিত হয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যভুক্ত হয়েছেন। সুতরাং তাঁর লেখায় স্বাভাবিকভাবে পড়েছে মার্কসীয় দর্শনের প্রভাব। সেই ভাবাদর্শের ফসল হয়ে গল্পে উঠে এসেছে নায়ক চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়। উচ্চবিত্ত থেকে সর্বহারা হয়ে ওঠা, ব্যক্তি থেকে সমষ্টির অন্তর্ভুক্ত হওয়া। আর তার এই ক্রমপরিণতির সহায়ক হয়ে শিল্পসম্মত ও বাস্তব চরিত্র হয়ে উঠেছে মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী বা টুনুর মা।

স্বার্মীৱ যথার্থ সহধর্মিণী: স্বামীর সত্যিকার সহধর্মিণী হল টুনুর মা। মৃত্যুঞ্জয় একবেলা খেয়ে আর-একবেলার খাবার ক্ষুধার্তদের মধ্যে বিলিয়ে দিত। স্বামীর মতাে টুনুর মাও একবেলা অর্ধাহারে দিন কাটাত। মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে বলেছে, আমি কি করব ? কত বলেছি, কত বুঝিয়েছি, কথা শুনবে না। আমি না খেলে উনিও খাবেন না যােগ্য সহধর্মিণী। আর্থিক সংকটে
সংসারের শােচনীয় অবস্থা। টুনুর মা অনাহারে শয্যাশায়ী। তাতেও কিন্তু স্বামীর খোঁজে তৎপর। স্বামীর সহযাত্রী ও সহপথিক হতে সে প্রস্তুত। নিখিলের প্রশ্নের উত্তরে বলেছে, ‘উঠতে পারলে আমিই তাে ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপাে দু-তিন দিন স্বামীর সঙ্গে ঘুরেওছে। নিখিলকে বলেছে, আমাকে দু-তিন দিন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।

দৱদ, সহানুভূতি ও মমত্ব: মৃত্যুঞ্জয়ের মতােই তার মধ্যে আছে সর্বহারা ক্ষুধিত মানুষের প্রতি সত্যিকার দরদ, সহানুভূতি ও মমত্ব। টুনুর মা নিখিলকে  বলেছে, ‘ওঁর সঙ্গে থেকে থেকে আমিও অনেকটা ওঁর মতাে হয়ে গেছি।…ছেলেমেয়েগুলির জন্য সত্যি আমার ভাবনা হয় না। কেবলই মনে পড়ে ফুটপাথের ওই লােকগুলির কথা।

স্বামীকে নিয়ে উদবেগ ও চিন্তা: স্বামীকে নিয়ে তার উদবেগেরও শেষ নেই। তার খোঁজে বারবার কাউকে না কাউকে পাঠায়। সে নিখিলকে অনুরােধ করে, ‘সে যেন একটু নজর রাখে মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে, একটু যেন সে সঙ্গে থাকে। তার আশঙ্কা হয় মৃত্যুঞ্জয় ওই ক্ষুধার্ত মানুষগুলির জন্য হয়তাে পাগল হয়ে যাবে। সর্বস্ব দিয়েও কিছু করতে পারছে না বলে মৃত্যুঞ্জয় দারুণ হতাশায় মুষড়ে যাচ্ছে। স্বামীকে নিয়ে তাই তার দুশ্চিন্তা।

বাস্তব ও জীবন্ত চরিত্র: গল্পে টুনুর মায়ের ভূমিকা খুবই ছােটো। তবু মনের দৃঢ়তায়, মানবিকবােধ, ভুখা মানুষের প্রতি মমত্ববােধ ও স্বামী অনুগামিনী সার্থক সহধর্মিণী হিসেবে তার চরিত্র বাস্তব ও জীবন্ত।



 ১। ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্পের উৎস নির্ণয় করো এবং গল্পটির সারাংশ লেখো। [1+4]  ‘Ans./উত্তর click here 

২। গল্পকার মানিক বন্দ্যেপাধ্যায়ের লেখা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্প আলোচনা প্রসঙ্গে নামকরণ কতখানি যথাযথ ও সার্থক হয়েছে আলোচনা করো।  ‘Ans./উত্তর click here 

৩। ‘নইলে দর্শনের অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই।’ –কার, কী দর্শনের কথা বলা হয়েছে? অনেক আগেই দর্শন ঘটে যাওয়া সম্ভব হয়নি কেন?  ‘Ans./উত্তর click here 

৪। তখন সে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে।—“তখন’ বলতে কখন? রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী? সে যে রীতিমতাে কাবু হয়েছে তার কী লক্ষণ দেখা গেল? [১+২+২]  Ans./উত্তর click here 

৫। কী ঘটনার ফলে মৃত্যুঞ্জয় শুন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইল-আলােচনা করাে। ওই প্রসঙ্গে ‘শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। [৩+২]  ‘Ans./উত্তর click here 

৬। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্পেৱ নিখিল চরিত্রটি আলােচনা করাে। [৫] ‘Ans./উত্তর click here

৭। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্পের মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটি আলােচনা করাে। [৫] ‘Ans./উত্তর click here

৮। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে। গল্প অবলম্বনে মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিল চরিত্রের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও। [৫]  Ans./উত্তর click here

৯। মৃত্যুঞ্জয়ৱ ৱকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল বড় একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে।—মৃত্যুঞ্জয়েৱ কী এমন দেখেছে যে, তা নিখিলেৱ অনুমানের কারণ হয়েছে? বড় একটা সমস্যা কী? সে সমস্যার সঙ্গে কীৱকম সঘাত হয়েছে বলে নিখিলের অনুমান? [২+১+২]  Ans./উত্তর click here

১০। নিখিলেৱ মনে হল, মৃত্যুঞ্জয়ৱ ভিতৱটা সে পৱিষ্কার দেখতে পাচ্ছে —এই পৱিষ্কার। দেখা প্রসঙ্গে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের ধারণা সম্পর্কে যা ভেবেছে তা বিবৃত কৱা। নিখিলের ওই ধারণা যে ঠিক নয়, মৃত্যুঞ্জয়ের জবাবে কীভাবে তা প্রমাণিত হল লেখাে। [২+৩] Ans./উত্তর click here

১১। মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল কৱতে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।—মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকে কেন? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল বিক্ষুদ্ধ চিত্ত কী ভাবতে লাগল লেখাে। (২+৩] Ans./উত্তর click here

১২। কদিন পরেই মাইনর তারিখ এল-মাইলের ব্যাপাৱাকে ঘিরে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনােভাব বিশ্লেষণ করা [২+৩] Ans./উত্তর click here

১৩। ‘ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা। কে, কাকে ও কী প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? উধৃত বাক্যেৱ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। [১+১+৩] Ans./উত্তর click here

১৪।‘তাৱপৱ দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।—মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তনের ছবিটি ফুটিয়ে তােলাে এবং তার লন্ধ বােধ ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দাও। [৩+২] Ans./উত্তর click here

১৫। মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয় মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির শােচনীয় অবস্থার কাৱণ আলােচনা প্রসঙ্গে শােচনীয় অবস্থাৱ ছবিটি তােমার ভাষায় আঁকো। (১+২+২]
অথবা, ‘মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শােচনীয়।—মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? [১+8]  Ans./উত্তর click here