বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ :বৈশিষ্ট্য ও পর্যালােচনা

ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

 পঞ্চম অধ্যায় 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ :বৈশিষ্ট্য ও পর্যালােচনা

 বিশদ ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর : প্রশ্নমান ৮

ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর : বিজ্ঞান ও কারিগরি কর্মে ভারতবর্ষের ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। সুপ্রাচীন হরপ্পা সভ্যতার যুগেও ভারতীয়দের উচ্চ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও কারিগরি দক্ষতার পরিচয় মেলে। ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চার এই বহমান ধারা ঊনবিংশ শতকে পাশ্চাত্য জ্ঞানলােকের স্পর্শে নব উদ্দীপনা লাভ করে। কায়েমী স্বার্থরক্ষাকারী ও প্রভুত্ববাদী ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতির পাল্টা ভাবনা রূপে জন্ম নেয় জাতীয় বিজ্ঞানচর্চা।

ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞাল শিক্ষার গুসার

এই অংশে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নে উল্লেখিত ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন ফর দ্যা কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’, কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ এবং বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ভূমিকা সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

ঔপলিবশিক বাংলায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার

ঔপনিবেশিক বাংলায় কারিগরি বিদ্যার ইতিহাস ঘাটলে যে নামটি সর্বাগ্রে উঠে তিনি হলেন শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের জনৈক কর্মী গােলকচন্দ্র, যিনি বিলিতি বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আদলে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বাষ্পীয় ইঞ্জিন নির্মাণের কৃতিত্ব দেখান। ১৮৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে ঔপনিবেশিক সরকার ভারতে টেলিগ্রাফ প্রচলনের উদ্যোগ নিলে বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার শিবচন্দ্র নন্দী দুর্বার গতিতে পদ্মার বুকে সাবমেরিন কেবল পাতার কাজ নিতান্ত স্বল্প ব্যয়ে সমাপ্ত করেন। মহেন্দ্রনাথ নন্দী কাপড় বােনার যন্ত্র প্রস্তুত করেন। রাজকৃয়  কর্মকার জলচক্র, বন্দুক এমনকি মেশিনগান তৈরিতেও পারদর্শিতা দেখান। প্রসন্ন কুমার ঘােষ, কালিদাস শীল, বিপিনবিহারী দাস প্রমুখ ব্যক্তিরাও কারিগরি বিদ্যায় যথেষ্ট কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরােপ করে যােগেশচন্দ্র ঘােষ এটি অর্থভান্ডার গড়ে তােলেন, লক্ষ্য বিদেশে গিয়ে কারিগরি বিষয়ে জ্ঞানার্জনকারী ছাত্রদের আর্থিক সাহায্য করা।

কারিগরি শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রয়ােজন অনুভূত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সরকার ১৮৫৬ প্রতিষ্ঠা করে কলকাতা ইঙুিনিয়ারিং কলেজ’, যা পরবর্তীকালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ নামে পরিচিত হয় এবং যাদবপুরে স্থানান্তরিত হয়। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরােধি আন্দোলন শুরু হলে একদিকে বেনন ছিল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করার প্রবণতা, অন্যদিকে ছিল জাতীয় উদ্যোগে স্বদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার প্রয়াস। এরই সূত্র ধরে কারিগরি শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ এবং বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ: বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন নং 9 থেকে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট : বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন নং ১ থেকে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

মূল্যায়ন : স্বদেশি যুগের এই সকল বিজ্ঞান চর্চার প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিঃসন্দেহে জাগরিত হয়েছে স্বদেশবােধ ও জাতীয়তা। ঔপনিবেশিক শিক্ষার পুতুল গড়ার কল ভেঙে সজীব মানুষ গড়ার শপথ নিয়েছিল এই সকল প্রতিষ্ঠান ও এর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাব্রতীরা।

[বি. দ্র : যেকোনাে একটি অংশের আলােচনা চাওয়া হলে প্রদত্ত উত্তরের ভূমিকা ও মূল্যায়ন অংশটি অপরিবর্তিত রেখে অন্য অংশটি পরিহার করাে।]


Madhyamik History Notes

Madhyamik Suggestion

Madhyamik Result & Routine

RECENT POST

LATEST POST